General Information
২০২২ সালে এসএসসি পরীক্ষায় পাশকৃত সকল শিক্ষার্থী জানাই
আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন
তোমাদেও উদ্দেশ্যে কিছু কথাঃ
২০২২ সালে এসএসসি রেজাল্ট প্রত্যাশী প্রিয় শিক্ষার্থী, ইমেজ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের পক্ষ থেকে অনেক অনেক অভিনন্দন ও শুভেচ্ছ\। এই করোনার মহামারিতে তোমরা খুব উদ্বেগ ও উৎকন্ঠার মধ্য দিয়ে অতিবাহিত করছো। আমরাও একইভাবে থাকলেও আমাদের চিন্তা করতে হচ্ছে তোমাদের নিয়ে। আমারা আশা করছি ৩১শে মে-২০২০ তারিখে তোমাদের কাঙ্খিত ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে এবং তোমরা আশানুরুপ ফলাফল অজ^ন করেছো।
যেহেতু ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে সেহেতু বর্তমান সময় কিভাবে অতিবাহিত করবা বা করা উচিত? তোমাদের এখনি সময় নিজেকে নিয়ে ভাবার, এখনি সময় নিজের ক্যারিয়ার গড়ার কথা ভাবার। সেই ভাবনাটা একটু সহজ করতে আমার ছোট্র একটি প্রয়াস এই ভিডিওটি।
তোমাদের সামনে অনেক পথ। যেতে হবে বহুদুর। এক এক জনের পথ ও ক্যারিয়ার এক একজনের মত। সেই পথে যাওয়ার পথও রয়েছে অনেক। কোন পথে তোমার ক্যারিয়ার গড়বা তা বেছে নেয়ার সিদ্ধান্ত নিতে হবে এখনিই। এসএসসি পাশ করার পর তোমরা যেভাবে ক্যারিয়ার গড়তে পারবেঃ
গতানুগতিক লেখাপড়াঃ এইচ এস সি জেনারেল শিক্ষা/ভকেশনালঃ
ভবিষ্যতে চাকুরী পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা সমূহঃ
(ক) বর্তমান শ্রমবাজারে যে ধরনের দক্ষ জনশক্তি প্রয়োজন তা সাধারন শিক্ষায় পড়ানো হয়না।
(খ) বর্তমান শ্রমবাজার ১০০% কারিগরি শিক্ষামুখী হওয়ায় সাধারন শিক্ষা থেকে চাকরী পাওয়া <কঠিন।
(গ) মধ্যবৃত্ত/নি¤œমধ্যবৃত্ত পরিবারের পক্ষ থেকে ৭ বছর লেখাপড়ার ব্যয় বহন করা অনেক কঠিন।
(ঘ) ৮৫% শিক্ষার্থী যেহেতু সাধারন শিক্ষা গ্রহন করে সেহেতু ইঞ্জিনিয়ারিং চাকুরী পাবার ক্ষেত্রে প্রতিযোগীতা অনেক কম। সাধারন শিক্ষায় প্রতিযোগিতা অনেক বেশী।
(ঙ) দেশে কর্মসংস্থাপন এর সুযোগ কম থাকায় ৮৫% শিক্ষার্থীর মধ্যে বেকারত্বের হার অনেক বেশী।
কারিগরি শিক্ষাবোর্ডেও অধীনে ৪ বছর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনোলজি সমূহঃ
বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডেও অধীনে বিভিন্ন ধরনের কারিগরি মুখী কোর্স করানো হয়। তার
মধ্যে অন্যতম হলো ৪ বচর মেয়াদি ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্স সমহঃ।
১. সিভিল টেকনোলজি
২. ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
৩. কম্পিউটার টেকনোলজি
৪. মেকানিক্যাল টেকনোলজি
৫. আর্কিটেকচার
৬. টেক্সটাইল টেকনোলজি
৭. গার্মেন্ট ডিজাইন এ্যঅন্ড পেটার্ন মেকিং
৮. সিভিল কন্সট্রাকশন
৯. ইন্টিরিওর ডিজাই
১০. ইলেকট্রমেডিকেল ইত্যাদি
টেকনিক্যাল বিষয়ে লেখাপড়া করার সুফলসমূহঃ
(১) কারিগরি শিক্ষা গ্রহন করলে কেউ বেকার থাকে না।
(২) ৪ বছর পড়েই কর্ম জীবন শুরু করা যায়।
(৩) সরকারী পর্যায়ে সরাসরি ২য় শ্রেণীর মর্যদা পূর্ণ চাকরি পাওয়া যায়।
(৪) বিএসসি/এমএসসি,পিএইচডিসহ উচ্চ শিক্ষার সুযোগ আছে।
(৫) সরকারী প্রায় সকল প্রতিষ্ঠানে প্রচুর সংখ্যক ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগ দেয়া হয়।
(৬) বেসরকারী পর্যায়ে সরকারী নিয়োগের কয়েকগুন কর্মসংস্থান রয়েছে।
v(৭) ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারসহ পরিবারের সকলের সামাজিক মর্যাদা বৃদ্ধি পায়।
(
৮) ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ারিং উন্নত দেশের চালিকা শক্তি।
(৯) দেশে যত উন্নয়ন মূলক নির্মান কাজ হচ্ছে তার ৮৫% করে ডিপ্লোমা ইন ইঞ্জিনিয়ার।
(১০) বিদেশে কর্মসংস্থাপনের বিশাল সুযোগ।
(১১) সাধারন শিক্ষার চাকরীর চেয়ে কারিগরি চাকরির বেতন অনেক বেশী।
(১২) গ্রামকে শহরে রুপান্তরিত করার মূল কারিগর হলো ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার।
(১৩) যে শিক্ষায় গ্রহন করো না কেন কম্পিউটার শিক্ষা বাধ্যতামূলক তাছাড়া যে কাজই করোনা
কেন সুকৌশলে কাজটি করলে কাজটি হবে স্মাট এবং সকলের কাজে গ্রহনযোগ্যতা পাবে সহজেই। সুতারং সাধারন শিক্ষায় চেয়ে কারিগরি শিক্ষা গ্রহন করাই বাঞ্চনীয় নয় কি?
(১৪) চাকুরি পাওয়ার জন্য কোন ঘুষ প্রদান করতে হয়না।
ইমেজ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট রংপুর সম্পকে কিছু কথাঃ
স্থাপিত হয় ঃ ২০১১ সাল
অবস্থান ঃ মুন্সিপাড়া কেরামতিয়া মসজিদ পূবগেট),
নবাবগঞ্জবাজার রোড, রংপুর
প্রতিষ্ঠান কোড ঃ ১৬১১৩
ফেন নম্বর ঃ০0521-55274 টিটি
মোবাইল ঃ ০১৭৫৫০৬৭২১০-৪
টেকনোলজি ঃ ৭ টি
শিক্ষাথীর সংখ্যা ঃ২০০০ (আনুমানিক)
অনুমোদিত টেকনোলজি সমূহঃ
১. সিভিল টেকনোলজি
২. ইলেকট্রিক্যাল টেকনোলজি
৩. কম্পিউটার টেকনোলজি
৪. মেকানিক্যাল টেকনোলজি
৫. আকিটেকচার
৬. টেক্সটাইল টেকনোলজি
৭. গার্মেন্ট ডিজাইন এ্যঅন্ড পেটার্ন মেকিং
কেন একজন শিক্ষার্থী ইমেজে ভর্তি হবে।
শিক্ষক মন্ডলী ঃ বি.এসসি ইঞ্জিনিয়াদের একদল শিক্ষক মন্ডলী
ব্যববহারিক যন্ত্রপাতি ঃ প্রতিটি বিষয়ের সবগুলো ব্যবহারিক ক্লাস করানো হয়।
সকল ক্লাস ঃ বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষাবোর্ডেও সিলেবাস অনুযায়ী দৈনিক
ব্যবহারিক ক্লাসসহ থিওরি ক্লাস পরিচালিত হয়। অন্য প্রতিষ্ঠানের ব্যবহারিক ক্লাস হয়না বললেই চলে। পরিচালিত হয়। প্রতিদিন
থিওরি ক্লাস ও ব্যাবহারিক ক্লাস রুটিন অনুযায়ী পরিচালিত হয়।
মনিটরিং ঃ সি সি ক্যামেরা দ্বারা মনিটরিং করার পাশাপাশি মনিটরিং
অফিসার দ্বারা প্রতিটি ক্লাস মনিটরিং করা হয় মনিটরিং কার্ডেও
মাধ্যমে।
শিক্ষা বীমা ঃ করোনা মহামারির কারণে প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদেও জন্য শিক্ষা
বীমার ব্যবস্থা করা করেছে।
স্বাস্থ্য বীমা ঃকরোনা মহামারির কারণে প্রতিষ্ঠান শিক্ষার্থীদেও জন্য স্বাস্থ্য বীমা ব্যবস্থা করা হয়েছে।
বিশ্বব্যাংক থেকে উপবৃত্তিঃ বাংলাদেশের ১৬২ টি পলিটেকনিকের মধ্যে ইমেজ পলিটেকনিক অন্যতম হওয়ায় বিশ্বব্যাক/স্টেপসহ সরকারী যেকোন বৃত্তি আমাদের শিক্ষার্থীরা অর্জন করে।
আবুল হোসেন উপবৃত্তিঃ সযদি কোন শিক্ষার্থী বিশ্বক্যাংক থেকে বৃত্তি না পায় (যদি শর্ত পূরণ করা সত্তেও) বেসরকারীভাবে বৃত্তির পাশাপাশি প্রতিষ্ঠান আবুল হোসেন ইঞ্জিনিয়ারিং বৃত্তির ব্যবস্থা আছে ফলে অনেক শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার খরচ কমে যায়।
শিক্ষা সফর ঃ বাংলাদেশে একমাত্র প্রতিষ্ঠান যার শিক্ষার্থীরা বিদেশে শিক্ষা সফরের ব্যবস্থা করে থাকে। ( ভারত, কলকাতা, দার্জিলিং, শান্তি নিকেতন ইত্যাদি)
উচ্চ শিক্ষা ঃ বাংলাদেশের সকল সরকারী বিশ্ববিদ্যালয়/কলেজে বিএসসি ইঞ্জিনিয়ারিং ভর্তিতে সর্বাধিক চান্স পায় এই প্রতিষ্ঠান থেকে।
করোনা প্যাকেজে ঃকরোনা প্যাকেজে ভর্তির মাধ্যমে শিক্ষার ব্যয় অনেক সাশ্রয় হবে।
স্বাস্থ্যবিীমাঃ প্রতিষ্ঠানের নিয়ম মেনে চললে এই বীমার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের স্বাস্থ সেবায় অনেকটা সহযোগী হবে।